বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি।
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর তাঁর এ প্রত্যাশার কথা জানান।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল, অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের ভিশন বাজেটে প্রতিফলিত হবে। কিন্তু ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ অভিমত তুলে ধরেন।
দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতি সামলাতে মাত্র কয়েক মাস সময় পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দু-একটি খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। গন্তব্য তাই এখনো অনেক দূর। কঠিন কাজটি করতে সামনে আছে নানা চ্যালেঞ্জ।
নোবেল পুরস্কার ছাড়া অন্য পুরস্কারগুলো হলো—র্যামন ম্যাগসাইসাই, বুকার, পুলিৎজার, সাইমন বলিভার, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্রামি, এমি, গোল্ডেন গ্লোব, কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজারবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গতকাল সোমবার বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এ বাজেট পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বাজারের টেকসই...
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় উৎসে কর কমানো হলেও মোবাইল ডিভাইসের মূল্য না কমালে এর সুফল মিলবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটি এই মন্তব্য করে।
দেশের ইতিহাসে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। কিন্তু এই বছর ৪ লাখ কোটি টাকা আদায় করা যাবে কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কীভাবে সম্ভব হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অর্ধেকে নেমে গেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ। এবারের বাজেটে এ খাতে ২ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি। পূর্বের বাজেটসমূহের ন্যায় এটি একটি গতানুগতিক বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের মোটা দাগে খুব একটা তফাত পরিলক্ষিত হয়নি। এবার বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কমেওনি, এতে কোনো
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনবিআরের লক্ষ্
২০২৪ সালের জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত গেজেটভুক্ত ‘জুলাই যোদ্ধা’ করদাতাদের বিশেষ আয়কর সুবিধা দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তাঁদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা দেড় লাখ টাকা বাড়িয়ে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ছাড়ের সুবিধা কমিয়ে অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে ইন্টারনেটের সেবা থেকে উৎসে কর ও মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার করের পরিমাণ কমানো হয়েছে।
নারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিল আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম বাজেটে নারীদের খরচ বাড়ানোর আয়োজন করেছে। ঠোঁট রাঙানোসহ নারীর রূপচর্চায় ব্যবহৃত মোট ১০ শ্রেণির পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে লিপস্টিকসহ সাজসজ্জার বিদেশি উপকরণের দাম বাড়বে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, করের সমন্বয়, করজাল সম্প্রসারণ ও অটোমেটেড রিটার্ন ব্যবস্থা চালুর মতো কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা গেলেও এটি সার্বিকভাবে ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে যথেষ্ট সহায়ক হবে না বলে মনে করছে ডিসিসিআই